৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল দল তখন একাই টেনেছিলেন রুবেল মিয়া। ৪১ রান করে রুবেল আউট হয়ে গেলেও এখানেই শেষ হয়ে যায়নি ম্যাচ। সাইফউদ্দিনকে ১৯তম ওভারে পরপর চার-ছয় মেরে বাড়িয়ে দেন রোমাঞ্চ।
তবে শেষ পর্যন্ত আর হাসি মুখে মাঠ ছাড়া হয়নি অলকের। বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ স্পনসরড বাই ওয়ালটন-এর সুপার লিগের শেষ দিন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টানা ৩ বার শিরোপা জয় করে ঐতিহ্যবাহী দলটি। শনিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। টার্গেটে খেলতে নেমে ১৪২ রানে থামে প্রাইম ব্যাংক।
আবাহনী এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ৩ বার ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়। তবে তখনো লিস্ট এ’র মর্যাদা পায়নি। ২০১৩-১৪ আসরে লিস্ট এর মর্যাদা পায় ঢাকা লিগের খেলা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স। আবাহনী এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ৩বার ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়। তবে তখনো লিস্ট এ’র মর্যাদা পায়নি। ২০১৩-১৪ আসরে লিস্ট এর মর্যাদা পায় ঢাকা লিগের খেলা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স। ইনিংসের শুরুতে সাইফউদ্দিনের বলে এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান রানার হাতে ধরা পড়েন রনি তালুকদার।
পরে রুবেল মিয়া-এনামুল হক বিজয় খেলার হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আরাফাত সানিকে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ৬ মেরে বিজয় আভাস দেন দারুণ কিছুর। কিন্তু আবারো বাধা হয়ে দাঁড়ান সাইফ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক সাজঘরে ফেরেন উইকেটের পেছেনে ক্যাচ দিয়ে। বিজয় ফেরার পর প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে জোড়া পতন ঘটে। ৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন রাকিবুল হাসান (৪) ও মোহাম্মদ মিথুন (৬)। এক প্রান্তে যখন আসা যাওয়ার মিছিল তখন আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন রুবেল। ওপেনিংয়ে নেমে রুবেল খেলেন ৪৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস। তানজিম হাসান সাকিবের বলে যখন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন দলের রান ৯৯। বল বাকি ছিল ২৬টি। রুবেলের সঙ্গে ম্যাচের ভাগ্য শেষ হলেও ঝলক দেখিয়ে কিঞ্চিত আশা জাগিয়েছিলেন অলক কাপালি। সাইফউদ্দিনকে ফাইনলেগে চার মেরে পান প্রথম বাউন্ডারি; তানজিমকে ওয়াইড লং অনে ছয় মেরে বাড়িয়ে দেন রোমাঞ্চ। এরপর সাইফউদ্দিনের ওভারে আবারও চওড়া হন অলক। ১টি ছয় ও ১টি চারে কমান রানের ব্যবধান। শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন হলেও নিতে পেরেছে মাত্র ৭ রান। প্রথম ৩ বল ডটের পর চতুর্থ বলে লং অনে ৬ মেরেছিলেন অলক। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ৩৪ রান করে। তার ইনিংসে ৩টি ছয় ও ২টি চারের মার ছিল। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হারতে হয় আবাহনীর কাছে। আবাহনীর হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরষ্কারও ওঠে এই অলরাউন্ডারের হাতে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্ত-মোসেদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দলটি। এরপর শান্ত-আফিফ ফিরে যাওয়ায় তিনি এখন একাই লড়ছিলেন। শান্ত সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৪৫ রান করেন। মোসাদ্দেক খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ঝড়ে দেড়শ রান স্পর্শ করে দলটি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।